জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) জন্য তহবিল স্থগিত করল নিউজিল্যান্ড। সর্বশেষ দেশ হিসেবে মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন বলেছেন, ইউএনআরডব্লিউএর কিছু কর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অভিযোগের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থাকে অর্থায়ন স্থগিত করেছে নিউজিল্যান্ড।
জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সোমবার বলেছিলেন যে- জাতিসঙ্ঘ ‘দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে’ অভিযোগের তদন্ত করতে কাজ করছে এবং ‘সরাসরি জড়িত কর্মীদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে’। যেমনটা জাতিসঙ্ঘ শুক্রবার ঘোষণা করেছিল।
ডুজারিক যোগ করেছেন, ‘এই মুহূর্তে ইউএনআরডব্লিউএ যে লাখ লাখ লোককে সেবা দেয়, কেবল গাজাতেই নয় পূর্ব জেরুসালেমে, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়াতেও তাদের ভবিয্যৎ খুব অন্ধকারে ফেলে দিয়েছে।’
এর আগে আটটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএতে তাদের অনুদান স্থগিত করে।
এই দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।
আরো দুটি দেশ বলেছে যে তারা ইউএনআরডব্লিউএকে পর্যালোচনা করছে। তারা হলো- আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় কাজ পরিচালনা করা জাতিসঙ্ঘের বৃহত্তম সংস্থা। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ার ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে। গাজার অভ্যন্তরে সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্টে বলেছে, ‘২০ লাখ মানুষ তাদের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।’
সূত্র : আল-জাজিরা