ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, এটা স্পষ্ট আবরার ফাহাদ মারা গেছে দেশের পক্ষে কথা বলার জন্য এবং ভারতের বিপক্ষে কথা বলার জন্য। এটাতো তারা বলতে পারেনা তাই একটি ট্যাগ লাগানো হয়। আবরারের মতো যাকে হত্যা করা হয়, নির্যাতন করা হয়, তাকে বলা হয় জামাত শিবির।
আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শহীদ আবরার ফাহাদ এবং সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্দ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত আছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, নিতাই চন্দ্র রায়, এডভোকেট জয়নুল আবেদিন, ডা. এ জেড এম জাহিদ, যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে আসিফ নজরুল বলেন, আমি বহুবার পত্রিকায় পড়েছি শিবির সন্দেহে পিটিয়ে পুলিশে দেয়া হয়েছে। বিএনপির এতো বড় বড় আইনজীবী থাকতে আপনারা কেনো আইনজীবী হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেননি যে শিবির হলেই তাকে মারার অধিকার সংবিধান দেয়নি। যদি কেউ কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনও করে থাকে তবে সেটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতে হবে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সংবিধান অনুযায়ী প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। সংবিধান কাউকে বিনা বিচারে হত্যার বৈধতা দেয়নি বলেও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, ভিন্নমত পোষণকরা কাউকে হত্যাকরা এটা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আমাদের সংবিধান শিবির করলে তাকে মারধর ও ফোন ল্যাপটপ চেক করার অধিকার ছাত্রলীগকে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টির আমলে কোন নির্যাতন হয়নি সেটা আমি বলবো না তবে এত মাত্রায় কখনো হয়নি। বর্তমান সরকার এসব অনৈতিক কাজ করার জন্যই দুটি অবৈধ নির্বাচন করার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।