জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল নয়, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল। তখন আওয়ামী লীগে যারা নেতৃত্বে ছিলেন তারা অধিকাংশ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়নি। এতো গুণ থাকা সত্বেও বিএনপি কেনো আন্দোলন করতে সাহস পাচ্ছে না।
আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শহীদ আবরার ফাহাদ এবং সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্দ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা দেখলে হৃদয় ভেঙে যায়, তাই বলে শেখ হাসিনা পিজি হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখে মায়া করে মুক্ত করে দিবেন? সেটা যদি কেউ ভাবেন তবে আন্দোলন করার যে মনোবল সেটা দূর্বল হবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত আছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, নিতাই চন্দ্র রায়, এডভোকেট জয়নুল আবেদিন, ডা. এ জেড এম জাহিদ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকান্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এটা শুধু মুম্বাই সিনেমায় দেখবেন কিন্তু আমরা কল্পনা করতে পারব না রাত আটটায় একটা ছেলেকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। কিন্তু কেউ তাকে বাঁচাতে যায়নি। আবরার হত্যার প্রতিবাদে আবরারের মা হয়ে বিএনপির পাঁচ হাজার নারী কর্মী কি ঢাকায় মিছিল করতে পারত না? অবশ্যই পারতো, তবে কেনো করেনি সেটা আমার জানা নেই।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আজ ওরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেয়ার কথা তুলছে। অন্যায় করেছে ওরা শাস্তি পাবে সবাই? তিনি বলেন, খুন করেছে ওরা, লুট করেছে ওরা (আওয়া লীগ) আর ওদের বড় বড় বুদ্ধিজীবী উপন্যাসিক বলছে দেশের নৈতিকতা লোপ পেয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মান্না বলেন, আন্দোলন করতে মাঠে নামবেন আর পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখবেন পুলিশ বলবে, আজকে মাঠে নামলে তোমরা গ্রেফতার হতে পারো, আর কারোর হাড় ঘোরও ভাঙতে পারে। আগে এসব যোগাযোগ বন্ধ করেন। তানাহলে এদেশে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না, বেগম জিয়া মুক্তি পাবে না।