সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুন নাগাদ এই পথে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।
পরীক্ষামূলক ট্রেনের চালক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ভাঙ্গা থেকে রওনা হয়ে ১০টা ২৫ মিনিটে যশোরের রূপদিয়া স্টেশনে পৌঁছেছি। কোথাও ৮০, কোথাও ৬০, কোথাও ৪৫ কিলোমিটার বেগে চলেছি।
যশোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, ‘এই ট্রেন যশোরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদের উপহার। ট্রেনটি ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে যশোরে পৌঁছে। যাওয়ার সময় আরো বেশি বেগে যাবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এই রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ’ (সিআরইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ ওই রেলপথে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী এবং যশোরের পদ্মবিলা ও সিঙ্গিয়াতে রেলওয়ে জংশন থাকছে।
এ ছাড়া নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, লোহাগড়া, নড়াইল এবং যশোরের জামদিয়া ও রূপদিয়ায় রেলস্টেশন হয়েছে।
ট্রায়ালে অংশ নেওয়া রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশের ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার পথ ৮৪ কিলোমিটার বেগে পাড়ি দিয়েছেন তারা। পথে কোথাও কোনো সমস্যার সম্মুখীন হননি তারা।
এদিকে পদ্মা রেল সেতু হয়ে নতুন ট্রেন চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। তাদের দাবি, এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র মতে, এ প্রকল্প শেষের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০১৬ সালের ৩ মে একনেকে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ নামে এটির অনুমোদন হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।