বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। কিন্তু সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। সরকার আজকে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না।
আজ শনিবার রাজধানীর মগবাজারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘আমরা আশা করব- সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবে। মানুষকে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। সরকার মুখে যা বলে বাস্তবে তা প্রমাণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিগত তিনটি নির্বাচনের ইতিহাস দেখুন। দেশের ১২ কোটি ভোটার এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। সরকারকে মানুষের ভোটের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা মুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে চাই। কথা বলার স্বাধীনতা চাই।’
‘বিএনপি বিদেশিদের ধরনা দিচ্ছে’ আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগের বিষয়ে মঈন খান বলেন, সরকারের অভিযোগ সত্যি নয়। বিএনপি যদি বিদেশিদের ওপর নির্ভর করত- তাহলে সারা বছর এসি রুমে বসে সিনেমা দেখত। কিন্তু বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে, সভা-সমাবেশ করছে। সারাদেশে পদযাত্রা করেছে। সরকারের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ’
রবিউল ইসলাম নয়নের পিতা আক্কাস শেখ বলেন, ‘আজকে ১৫ বছর ধরে আমার ছেলে বাসায় থাকতে পারে না। ছেলের চেহারা দেখতে পাই না। কোথায় আছে জানি না। রাজনীতি করার কারণে দুইবার আমার ছেলেকে গুলি করা হয়েছে। একবার গুলি করার পর মৃত ভেবে নয়নকে মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। নয়নের বিরুদ্ধে আড়াই শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। হাত-পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি করে এটাই আমার ছেলের অপরাধ।’
এ সময় নয়নের শাশুড়ি শিরিনা পারভীন ও স্ত্রী শাম্মাী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।