মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে কথা বলার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা স্থগিত করেছেন। গত শনিবার রাতে এবং রোববার ভোর রাতে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। ইসরাইল বলেছিল, তারা এই হামলার জবাব দেবে।
ইসরাইলি সরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান কানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি হামলার জবাবে ইসরাইল সম্ভাব্য বিভিন্ন উপায় আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিল ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। এসব হামলা শিগগিরই পরিচালনা করার পরিকল্পনাও ছিল।
কানের খবরে বলা হয়, একটি সিনিয়র সূত্র তাদেরকে জানিয়েছে যে জবাবটা আর পরিকল্পনামতো হচ্ছে না। কূটনৈতিক স্পর্শকাতরতার জয় হয়েছে। জবাব দেয়া হবে। তবে তা দৃশ্যত হবে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার চেয়ে ভিন্নভাবে।
নেটওয়ার্কটি জানায়, খুব সম্ভবত হামলার যে পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক দুর্বল হবে এই জবাব।
কানের খবরে আরো বলা হয়, পাশ্চাত্যের কূটনীতিবিদেরা বলছেন, ইসরাইল যে সাড়া দেবে, তা বোঝা গেছে।
এদিকে ওয়াইনেট নিউজ সাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি নেতৃত্ব এবং সামরিক কর্মকর্তাদের বেশিভাগই ইরানকে জবাব দেয়ার ধারণাকে সমর্থন করে। তবে কেউ কেউ এর বিরোধীও। বিশেষ করে শাস নেতা আরিয়েহ দেরি উত্তেজনা বাড়ে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডোরোন গ্যাভিস বলেছেন, বিমান বাহিনী ইরান থেকে ভবিষ্যতের হামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ তেহরান ইসরাইলি হামলার তাৎক্ষণি বদলা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ডোরোন বর্তমানে রিজার্ভ বাহিনীতে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে সাফল্য পর্যালোচনা করছে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। তারা সম্ভাব্য বাড়তি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা পরবর্তী সময়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ সাতজন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ইরান গত শনিবার ও রোববার ব্যাপকভাবে ইসরাইলে ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এই প্রথম ইসরাইলে সরাসরি হামলা হলো।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল