উপজেলা নির্বাচন সম্পূর্ণ ভুয়া ও জালিয়াতির নির্বাচন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এই নির্বাচনে জনগণের কোনো ভূমিকা নেই। এ নির্বাচন জনগণের সাথে প্রতারণা করার নির্বাচন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার দখলদার অভিযোগ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেড নেই, এরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। তাই এদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন পড়ে না।’
সরকার যাকে পছন্দ করবেন তিনি হবেন উপজেলা চেয়ারম্যান মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখানে নির্বাচনের নামে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা, শুধুমাত্র একটা প্রহসন। সরকার বাংলাদেশকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে।
দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে কারা এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘এরা ক্ষমতাসীন দলের আত্মীয়-স্বজন। আজকে দুবাইয়ে ৩৯৪টি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে। লুটের টাকা দিয়েই তারা আজ বিদেশে বাড়ি করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাংকে ঢুকতে সাংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সাংবাদিকরা ঢুকে যাতে কোনো তথ্য জানতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছে ব্যাংক।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাবেক সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজীব রায়হান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, যুবদল নেতা মন্জুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা এস এম আল মাহমুদ দিপু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইব্রাহীম চৌধুরী প্রমুখ।