গাজা উপত্যকা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। স্ট্যাসি গিলবার্ট নামের ওই কর্মকর্তা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, উদ্বাস্তু ও অভিবাসন ব্যুরোর সিনিয়র সিভিল-মিলিটারি উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি পদত্যাগের ব্যাপারে বলেন, পররাষ্ট্র দফতর ভুল মূল্যায়ন করায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে। বিশেষ করে গাজায় ইসরাইল সীমা লঙ্ঘন করছে না বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তিনি আর দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী নন বলে জানান।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল গাজায় ক্রাণ সহায়তা প্রবেশে কোনো ধরনের বাধা দিচ্ছে না।
আমেরিকান অস্ত্র আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে গাজায় ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ওই প্রতিবেদন তৈরী করতে বলা হয়েছিল। যদি দেখা যেত যে ইসরাইল তা করছে, তবে ইসরাইলে অস্ত্র হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেত।
যুক্তরাষ্ট্র অস্বীকার করলেও সাহায্য সংস্থা, দাতব্য সংস্থা এবং অধিকার গ্রুপগুলো অভিযোগ করছে যে ইসরাইল গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
আর যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিবেদনে বলছে যে গাজায় যে পরিমাণ সাহায্য প্রবেশ করছে, তা পর্যাপ্ত নয়। তবে এতে আরো বলা হয়, ইসরাইল ত্রাণ সরবরাহে কোনো বাধা দিচ্ছে না।
গিলবার্টের এই সিদ্ধান্তকে অধিকার গ্রুপগুলো স্বাগত জানিয়েছে।
এর আগেও বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা গাজায় বাইডেন প্রশাসনের নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে পররাষ্ট্র দফতর থেকে প্রথম পদত্যাগকারী যশ পল একটি লিনকেডইন পোস্টে গিলবার্টের পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বাইডেন প্রশাসনের নিরঙ্কুশ ব্যর্থতা প্রতিফলিত করছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রথম ইহুদি-আমেরিকান রাজনৈতিক কর্মকর্তা লিলি গ্রিনবার্গ পদত্যঅগ করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র দফতরে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া মে মাসে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেন মেজর হারিসন ম্যান।
এর আগে পররাষ্ট্র দফতরের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রারিট গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই