বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি, সাদাপাথরসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে।
পর্যটকদের এসব পর্যটনকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেন্দ্রগুলো আবারও পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত করা হবে।
সিলেটের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর, গোয়াইনঘাটের জাফলং, রাতারগুল ও বিছানাকান্দি এবং জৈন্তাপুরের লালাখাল।
ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮ উপজেলার অন্তত তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। রাতেও অব্যাহত রয়েছে নদীর পানি বৃদ্ধি। খোলা হয়েছে তিন শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র।
কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটন ঘাটসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
একই তথ্য জানান গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের না আসতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় জরুরি সভা করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। আজ নগর ভবনে সভায় নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সেগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জনস্বার্থে সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ, পানি, স্বাস্থ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, সিসিক মেয়র মো. আনোরুারুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরানের সঙ্গে আলোচনা করে জরুরি সভা আহ্বানের নির্দেশনা প্রদান করেন।