দেশে কোটা ও পেনশন নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে, এ আন্দোলন যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ সোমবার দুপুরে রংপুরে তিন দিনের সফরে এসে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেছেন, ‘সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে দেশে কোটা ও পেনশন নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। এ আন্দোলন যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা পাচ্ছেন না। সরকার তাদের অনুগতদের চাকরিতে নিয়ে আসছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে। আর এ জন্য ছাত্ররা আন্দোলন করছেন, সরকার যেন চাপের মুখে সেটি তুলে নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংসদে বলেছি, যারা পেনশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, তারা সবাই শিক্ষক সমিতির। আমার জানা মতে, সরকারের খুব ঘনিষ্ঠজন তারা। সরকার বলছে, তাদেরকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের ঘনিষ্ঠজন। সরকারের সঙ্গে তারা সব সময় থাকেন এবং সরকারের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন।’
তিনি বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্পের বিষয়টি সরকার জটিল করে তুলেছে। আমরা বিভিন্নভাবে বাহিরের শক্তির কাছে পরনির্ভর হয়েছি। সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করেছে। যদি পদ্মা সেতু ঋণ নিয়ে তৈরি করা হয়, তবে কেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঋণ নিয়ে করা হবে না। এটি হলে গোটা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বলতে পারি ঋণ নিয়ে ঘি খাওয়ার মতো অবস্থা দেশে বিরাজ করছে। ফলে ঋণের বোঝা জনগণের ওপর পড়বে। ইতোমধ্যেই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সরকার করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধের অযুহাত দেখাচ্ছে। অথচ ভারতের মুদ্রাস্ফীতি অর্ধেকে নেমেছে, নেপালে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। দেউলিয়া দেশ শ্রীলংঙ্কা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পিছিয়ে পড়ছি। সরকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জাহেদুল ইসলাম, যুবসংহতি নেতা ইউসুফ আহমেদসহ আরও অনেক।