রংপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাইয়িদ নামের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
নিহত শিক্ষার্থীর বাড়ি জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ায়। তিনি ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো: মনিরুজ্জামান।
জানা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও গুলি করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিন বেলা পৌনে ১টার দিকে রংপুর ডিসির মোড় থেকে জিলা স্কুল, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় ক্যাপ্টেন ব্যাকোলোজি মোড়ে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাথে ব্যাপক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা ডিঙ্গিয়ে তারা সামনের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সময় কয়েকজন পুলিশকে শিশু শিক্ষার্থীদের গলা চেপে ধরতে দেখা গেছে। তারপরেও মিছিলকারারী পুলিশের বাধা ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে রওয়ানা হয়।
এরপর শিক্ষার্থীরা পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, জীবন বীমা মোড়, শাপলা চত্বর, চারতলা মোড়, মেয়রের মোড় হয়ে এখন লালবাগে। তারা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে অংশ নিবে। তাদের সাথে লালবাগে যোগ দিয়েছেন কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দেখা গেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে আছে।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করবে বেলা ৩টায়। তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। নিরাপত্তার কারণে তাদের বাধা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বাধা ভেঙে সামনে এগিয়ে গেছে।