মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ পাতে থাকলে মাংসকেও ভুলে যান বাঙালিরা। চিকিৎসকরাও মাংস সরিয়ে বেশি করে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোন মাছ কতটা খাওয়া উচিত, কোন রোগীদের জন্য এই মাছেও রয়েছে বিপদ, সে কথা কয়জনই বা জানেন। শুধু তাই নয়, এমন অনেক মাছ তালিকায় রয়েছে, যা খাওয়া একেবারেই অনুচিত। জানুন সেই মাছগুলো কী কী।
হাইব্রিড মাগুর : বাজারে গিয়ে হাত নিশপিশ করলেও বড় আকারের মাগুর মাছ কেনা এবার বন্ধ করুন। কারণ মাগুর মাছ কিন্তু নানা সাইজের হতে পারে। মাছের সাইজ যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ে, সেজন্য অনেকসময় মাছ চাষীরা নানারকম হরমোন ইঞ্জেকশন পুশ করেন মাছের শরীরে, যা সবার জন্যই অনেক বেশী ক্ষতিকর।
ম্যাকারেল : রেস্তোরাঁর দৌলতে বাঙালি এখন পোনামাছের পাশাপাশি ম্যাকারেল খেতেও অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। কিন্তু জানেন কী এই ম্যাকারেলে পারদ থাকে। আর আপনি যদি ম্যাকারেল খান, তাহলে ওই পারদ কিন্তু আপনার পেটেই জমা হতে থাকবে। এর ফলে নানারকম বিপজ্জনক রোগও হতে পারে। তাই এবার থেকে ম্যাকারেলকে একটু এড়িয়েই চলুন।
টুনা মাছ : বাঙালির খাবারের তালিকায় এখন আস্তে আস্তে দিব্যি ঠাঁই করে নিচ্ছে টুনা মাছ। এটি মূলত বিদেশি মাছ। এই টুনাতেও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পারদ থাকে। তাছাড়া যে সমস্ত ফার্মে টুনা চাষ করা হয়, সেখানে মাছকে প্রচুর পরিমাণে হরমোন ও অ্যান্টি-বায়োটিক ইঞ্জেক্ট করা হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
পাঁকাল মাছ : তৈলাক্ত এই মাছটি জলে প্রাপ্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং ফার্মের বর্জ্য পদার্থ খেয়ে বড় হয়। তাই মাছটি পুরোপুরি দূষিত বলে মনে করা হয়। এতে পারদের পরিমাণ মানব দেহের জন্য সহনীয় মাত্রায় থাকে না। তাই এই মাছটি কখনই না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
পাঙাশ মাছ : সাধারণত ফার্মে পাংগাস স্বাদ বাড়ানোর ও সংখ্যায় বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় নানা রকম রাসায়নিক সার। সঙ্গে বিষাক্ত কীটনাশক। দেখা গেছে, ফার্মে পাঙাশ চাষে ব্যবহার করা হয় এমন কিছু রাসায়নিক, যা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, সুস্থ ভাবে বাঁচতে অবশ্যই মাছ খান তবে পাঙাশ নয়। আমরা বাজার থেকে যে পাঙাশ কিনি, সেগুলো সবই মূলত কারখানায় চাষ করা হয়। আর এখানেই বিষ হয়ে যায় পাঙাশ।