প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশি অ্যাথলেট ইমরানুর রহমান হিটেই বাদ পড়েছেন। লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশের এই দ্রুততম মানব ১০০ মিটার স্প্রিন্টের প্রিলিমিনারিতে ১০.৭৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজের হিটে ৮ জনের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছেন।
এই ইভেন্ট শেষে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ইমরানুরের অলিম্পিক অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সের প্রতিক্রিয়া জানতে মিক্সড জোনের দিকে ছুটলেন। যেখানে ভালো শুরু করে পিছিয়ে পড়া এবং তার সেরা টাইমিংয়ের চেয়ে এত খারাপের কারণ জানতে চাইলে রীতিমতো বোমা ফাটান এই তারকা। তিনি জানান, অলিম্পিক খেলার জন্য তিনি ফিট ছিলেন না। গত কয়েক মাস তিনি পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনও করতে পারেননি। তার কোচও নাকি তাকে খেলতে বারণ করেছিলেন। পেটের নিচের অংশে সমস্যা রয়েছে। হার্নিয়ার একটি অপারেশনও করা প্রয়োজন।
এরপর জানা গেলে ইমরানুর নাকি ফেডারেশনকেও জানিয়েছেন এবং ফেডারেশনের শেখানো বুলিই তিনি আওড়িয়েছেন। কিন্তু ফেডারেশন থেকে তাকে এই তথ্য গোপন করতে বলা হয়েছে এবং অলিম্পিকে দৌড়াতে বাধ্য করা হয়েছে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টুর কাছে যখন এটির কারণ জানতে চাইলেন বাংলাদেশের সংবাদকর্মীরা, তখন হুট করে তেতে উঠলেন তার পাশে থাকা শেভ দা মিশন ও বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু।
সংবাদকর্মীদের সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করে তিনি দাবি করলেন, ইমরানুর ইতিহাস গড়েছেন এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন! তার সঙ্গে সায় দিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকও! অথচ সত্যিটা হলো, ১০ দশমিক ৭৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে, প্রাথমিক পর্বের ৬টি হিট মিলিয়ে ৪৫ জনের মধ্যে ২৫তম হয়ে ইমরানুর বাদ পড়ে গেছেন।
ইমরানুরের চোটের খবর ফেডারেশন জানে না এবং এই স্প্রিন্টার তাদেরকে এসব কিছু জানায়নি বলেও বারবার দাবি করলেন সাধারণ সম্পাদক।