জামালপুর জেলা কারাগারে রক্ষীদের সাথে সংঘাতে ছয় কয়েদি নিহত হয়েছেন। বন্দীদের হামলায় আহত হয়েছেন চার কারারক্ষী। গোলাগুলি এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তবে এখন পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার শুরু। জামালপুর কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ সাংবাদিকদের জানান, আসামিদের একটি পক্ষ মুক্তির জন্য বিদ্রোহ করে। তাদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে অপর একটি পক্ষের।
তিনি বলেন, পরে বিদ্রোহী গ্রুপটি প্রথম গেট ভেঙে কারাগার থেকে বের হয়ে আসে।
বন্দীরা তাদের থাকার জায়গায়ও অগ্নিসংযোগ করে বলে জানান জেলার।
দ্বিতীয় গেট খুলে দেয়ার জন্য জেলার ফাতাহসহ কারাক্ষীদের ওপর আক্রমণ করে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কারারক্ষীদের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারাগারে অবস্থান নেন।
স্থানীয় সাংবাদিক সাগর ফরাজী জানান, নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা গতকাল থেকে কারাগার এলাকা ঘিরে রেখেছেন।
নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলেও জানান ফরাজী। তারা হলেন আরমান, রায়হান, শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু, জসিম ও রাহাত। তারা সবাই কারাবন্দী।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে দুপুরে কয়েদিদের সাথে কারারক্ষীদের সংঘর্ষ হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ভেতরে কয়েদিরা যখন কারারক্ষীদের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে তখন বাইরে থেকেও একদল দুর্বৃত্ত কারাগারের ফটক ভাঙার চেষ্টা করেছে। তখন কারারক্ষীরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান একজন কর্মকর্তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেরাবাহিনীর সহায়তা চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে প্রায় এক হাজারের বেশি কয়েদিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
সূত্র : বিবিসি