বন্যা ও ঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণ সঙ্গে থাকলে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ এবং ওষুধসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যা বা ঝড় হলে আমাদের জনগণ কিন্তু সাহায্য করতে আসে। অন্যান্য দেশের মতো না। আমাদের দেশের জনগণ কিন্তু একজনের পেছনে আরেকজন দাঁড়িয়ে যায়। আপনারা যদি ভালোভাবে প্রচার করেন তাহলে দেখবেন জনগণই এই সমস্যা প্রতিহত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিলিফ-ওষুধের কোনো অভাব হবে না। অনেক জায়গায় যেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ত্রাণ পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। এ অসুবিধা বেশি সময় থাকবে না। জনগণ সাহায্য করলে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (প্রশাসন) সব জায়গায় পৌঁছে যেতে পারবে। আপনারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন।’
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাটি ও টিনের বাড়ির মানুষদের পুনর্বাসন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু একটু সময় দিতে হবে। দ্রুত কোনো কিছু করা যাবে না।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জেনেছি কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর সম্পূর্ণ ধসে গেছে। এটি পুনঃস্থাপনে কীভাবে তাড়াতাড়ি অ্যাকশন (পদক্ষেপ) নেওয়া যায় তা করব। জনগণকে বলব, আপনারাও আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করুন। সবার প্রচেষ্টায় নিশ্চয় ভালো কিছু হবে।’
এরআগে বেলা পৌনে ১১টায় বিজিবির তত্ত্বাবধানে হেলিকপ্টারযোগে ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌঁছে সেখানেও ত্রাণ তৎপরতা ও ওষুধসামগ্রী বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরীফুল ইসলাম জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে ফেনীতে ২৫০ পরিবার ও নোয়াখালীতে ২৫০ পরিবারসহ বন্যাদুর্গত ৫০০ পরিবারে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এসময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড আর্টিলারির লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।