রংপুরের গঙ্গাচড়ার ইউনিয়নের মন্থনা বাজারের পাশে বালাপাড়া গ্রামে স্ত্রী ও কন্যার গলাকাটা এবং স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
গংগাচরা থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার জানান, বছর সাতেক আগে বালাপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হাফিজুল ইসলামের সাথে আলমবিদিতর ইউনিয়নের সদ্দার পাড়া গ্রামের মোরশেদুল ইসলামের কন্যা ফাতেমার বিয়ে হয়। তাদের হুমায়রা খাতুন নামে আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তান আছে।
কাজ না করা নিয়ে হাফিজুলের সাথে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন থেকে মনোমালিন্য ছিল। শুক্রবার রাতে এ নিয়ে তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমাতে যান তারা। সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘরের দরজা না খোলায় স্বজনরা দরজা ভেঙ্গে দেখেন বিছানায় পড়ে আছে ফাতেমা এবং হুমায়রার গলাকাটা লাশ আর ঝুলে আছে হাফিজুলের লাশ। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
গংগাচরা উপজেলা নিবাহী অফিসার তাসলিমা বেগম জানান, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছি। প্রাথমিক তদন্তে দুটি গলাকাটা লাশ এবং একটি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের পরই বলা যাবে এই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় হাজার হাজার এলাকাবাসী ভিড় করছেন ঘটনাস্থলে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।