চাঁদপুর শহরে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক দম্পতি মারা গেছেন। স্ত্রীর মৃত্যুর নয় ঘণ্টা পর মারা যান স্বামী। সোমবার রাত ৮টার দিকে মারা যান স্ত্রী রাবেয়া বেগম আর মঙ্গলবার ভোর ৫টায় স্বামী মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী। তাদের এক ছেলে এবং নাতির করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
রোববার সকালে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল করোনা টেস্টের জন্য। সেই রিপোর্ট এখনো অপেক্ষমান। এ কারণে চাঁদপুর শহরতলির আশিকাটি গ্রামের বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থায় বৃদ্ধাকে সোমবার রাতে আর বৃদ্ধকে মঙ্গলবার সকালে দাফন করা হয়।
তাদের ছেলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী পরিচালক (পিআর) আনোয়ার হাবিব কাজল জানান, আমার মা সোমবার রাতে শহরের চিত্রলেখা এলাকার বাসায় মারা যান। এরপর রাত সাড়ে ৩টায় আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করে শহরের বাসায় আসি। এর দেড় ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে মারা যান বাবাও। আমার বাবা মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজেদা পলিন জানান, মারা যাওয়া দু’জনের ছেলে এবং নাতির শরীরে ইতোমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যেহেতু তাদের পরিবারের দু’জন ইতোমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরও কিছু উপসর্গ ছিল। তাই রোববার তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের রিপোর্ট এখনো আসেনি।
তিনি বলেন, মজিবুর রহমানের পরিবারের দু’জন সদস্য অনেক দিন ধরে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এবং তাদের কিছু উপসর্গ থাকায় রোববার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। মারা যাওয়া দু’জনকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে।
তাদের দাফন কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানসহ পুলিশ বিভাগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজেদা পলিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগ।
তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডেফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির ভাইস চেন্সলরসহ শিক্ষক, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহসহ চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সকল স্তরের সদস্যবৃন্দ।