সমাজে বিরাজমান অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে গিয়ে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ রবিবার টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কমপ্লেক্সের পূজা উদযাপন কমিটির কাছে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আবহমান কাল হতে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে শারদোৎসব উদযাপনের সংস্কৃতি আমাদেরকে ভ্রাতৃত্ববোধ, বহুত্ববাদ, সহিষ্ণুতা ও একত্রে পথচলার শিক্ষা দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই উদাহরণ একদিকে যেমন আমাদেরকে ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার জন্য লড়াই করতে শেখায়, তেমনিভাবে আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ, তথা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার সুরক্ষায় আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়।’
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে বিরাজমান অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে একত্রে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে, আইন পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ন্যায়ের পথে থেকে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিরতিহীনভাবে কাজ করার মাধ্যমে সমাজে মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।’
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের প্রয়াত দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির ঐতিহ্যবাহী পুজামণ্ডপসহ কুমুদিনী হাসপাতাল ও ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
প্রধান বিচারপতির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নাজিমুদ্দৌলা, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার খান, জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরীফুল আলম ভূঁইয়া ও স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন।