অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। মূলত চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বেশিরভাগ উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার কারণে অন্যান্য বিভাগেও চলছে তোড়জোড় আন্দোলন। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
গতকাল বুধবার রাতে তার ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এই গণঅভ্যুত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ থেকেও একজন করে উপদেষ্টা নেওয়া হোক।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বৈষম্যতার কথা উল্লেখ করে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘২৪ জনের মধ্যে একটি বিভাগ থেকেই ১৩ জন। এসব বিষয় চোখে পড়ে।’ গত মঙ্গলবার এক টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে উত্তরাঞ্চল উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে রংপুর নগরীর লালবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ছাত্র-জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে। তাদের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এ সময় রংপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধি ইমরার আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। যার প্রাণের বিনিময়ে বিপ্লব সংগঠিত হলেও এখন আবু সাঈদ এখন রংপুরে বৈষম্যের শিকার। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হলেও উত্তরবঙ্গ থেকে এখনো একজনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর পরিবর্তে বিতর্কিত কিছু মানুষকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই উত্তরবঙ্গ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে উপদেষ্টা অন্তর্ভুক্তির দাবি করছি।’