ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রীইয়ুভ গ্যালান্ত ও হামাস নেতা মোহাম্মদ দাইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আজ বৃহস্পতিবার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
এক বিবৃতিতে আদালত জানায়, ‘নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট ইচ্ছাকৃতভাবে ও জেনেশুনে গাজার বেসামরিক মানুষকে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র— যেমন খাবার, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত করেছেন এমন অভিযোগ বিশ্বাসের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত প্রায় এক লাখ। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় সারা বিশ্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও। হিজবুল্লাহ ও হুতিরাও এখন সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা করছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছর মে মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট এবং তিন হামাস নেতা হানিয়েহ, সিনওয়ার ও দাইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর চিফ প্রসিকিউটর।
তবে আইসিসি এইট পরোয়ানা কীভাবে প্রয়োগ করবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইসরায়েল এসব আইনি বিষয়গুলো পরোয়া না করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে তারা পাল্টা অভিযোগও করেছে। তবে আইসিসি সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।