করোনা টেস্ট এবং অ্যান্টিবডি টেস্ট জোরদার করার পাশাপাশি এবার কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং কার্যক্রম শুরু করেছে নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ। এ কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ২ হাজার প্রশিক্ষিত ট্রেসার নিয়োগ করা হয়েছে। এসব ট্রেসার কোভিড ১৯ সনাক্ত হওয়া রোগীদেরকে নানাভাবে অনুসরন করবে। এছাড়া তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে বা আসবে তাদেরকেও সতর্ক করার পাশাপাশি পরামর্শ দেবে। করোনা নতুন সংক্রমণের লাগাম টানতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিউ ইয়র্ক স্টেটে ব্যাপকমাত্রায় করোনা টেস্ট এবং অ্যান্টবডি টেস্টের কাজ চলছে। করোনা টেস্টের সুবিধা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে এমনকি বিভিন্ন ফার্মেসিতেও। আর অ্যান্টিবডি টেস্টও বেশ সহজেই করা যাচ্ছে সকল আর্জেন্ট কেয়ার ক্লিনিকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে। এদিকে করোনা টেস্ট ও অ্যান্টবডি টেস্টের ব্যাপারে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে নগর কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে ১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি ব্যাপক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেছে।
এদিকে করোনা সংক্রমণের ফলে নিউ ইয়র্কে সৃষ্ট ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর যেসব স্বাস্থ্যকর্মী সেবা দেয়ার জন্য এখানে এসেছিলেন, তারা এরইমধ্যে ফিরে গেছেন নিউ ইয়র্ক থেকে। পরিস্থিতির তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি হওয়ার প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালগুলোতে নতুন রোগী ভর্তির হার অনেক কমে গেছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোর নিয়মিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবো কর্মীরাই সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নেবার জন্য যথেষ্ঠ। এ কারণে সামরিক বাহিনরি স্বাস্থ্যকর্মীদের আর এখানে থাকার প্রয়োজন হচ্ছে না।
পরিস্থিতির ক্রমশ: উন্নতি হতে থাকায় নিউ ইয়র্কে জনজীবনের ওপর থেকে বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে তুলে নেয়া শুরু হয়েছে। মেমোরিয়াল ডে’র ছুটিতে দেখা গেছে যে, বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছেন। বিভিন্ন পার্ক এবং খোলা জায়গাতেও দেখা গেছে মানুষের ভিড়। তবে সর্বত্রই সামাজিক দূরত্ব বজায় চলা এবং কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া প্রায় সবাইকেইমুখে মাস্ক পরে থাকতে দেখা গেছে।
করোনা ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠা নিউ ইয়র্কে নতুন রোগী সনাক্তের হার গত কয়েক সপ্তাহের মতোই নি¤œগামী রয়েছে। প্রতিদিনই কমছে মৃত্যুসংখ্যাও। গত দু’দিন এখানে আর কোনো বাংলাদেশীর মৃত্যুসংবাদ পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ গত রোববার ঈদের দিন নিউ ইয়র্ক স্টেটের বাফেলো শহরে ইব্রাহিম হোসেন নামের এক বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।