বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ। এ সময় জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত, জিয়া পরিবার ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন তারা।
জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ মাজার জিয়ারত করেন।
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। আজকে তার ৩৯তম শাহাদত বার্ষিকীতে তার মাজার জিয়ারত করতে এসেছি। যিনি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে তার মতো ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রপতি থাকলে দেশের মানুষকে এতো বেশি কষ্ট পেতে হতো না। আমরা আজকে বিশেষ এই দিনে চলমান সঙ্কট ও দুর্দিনে সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছি। একইসাথে গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের শপথ নিয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দিয়েছেন তা গ্রাহ্য করেনি সরকার। বরং তারা সবকিছু চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা জনগণের কল্যাণে কোনো কাজ করতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকেই সরকার অদূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞাহীনতার পরিচয় দিয়েছে। লকডাউন তুলে নেয়া ও গণপরিবহন চালু নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে গোটা দেশের মানুষ আতঙ্কিত। প্রতিদিন যে টেস্ট হচ্ছে তাতে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সবকিছু খুলে দিয়ে সরকার আমাদের সমস্ত জাতিকে বড় ধরনের বিপদে ফেলে দিলো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বহু পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু তারা তা আমলে নেয়নি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।