করোনাকালীন গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ প্রস্তাবিত ভাড়া কমিয়ে মন্ত্রণালয় একটি যুক্তিসঙ্গত হার নির্ধারণ করেছে। এ ব্যাপারে আজ এই প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী এ সংকটকালে জনস্বার্থে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার হার ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে গাড়ি চালানোর জন্য পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আজ রোববার সকালে সংসদ ভবনে বাসভবন থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের এসব কথা জানান।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত আসে সরকারের পক্ষ থেকে। এই অবস্থায় বাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে বিআরটিএ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণের জন্য ৮০ শতাংশ ভাড়া সমন্বয় বাড়তি চাপ তৈরি করবে। সরকারকে যেমনি যাত্রীদের স্বার্থ দেখতে হবে তেমনি পরিবহন খাতকেও সহযোগিতা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে জনগণের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই সরকার প্রস্তাবিত ভাড়ার হার কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে সমন্বয় করতে যাচ্ছে।
এসময় মন্ত্রী জানান, করোনাকালীন বাস-মিনিবাসসমূহকে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হবে। করোনা সংক্রমণ রোধে অর্ধেক আসন খালি থাকবে।
তিনি যানবহনে যাত্রী, গাড়িচালক, সহকারী, কাউন্টার কর্মীসহ সকলকে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের অনুরোধ জানান।
ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের সড়ক বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্পসমূহের চলমান কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন একটি বহমান প্রক্রিয়া। উন্নয়ন থেমে গেলে জীবনও থেমে যাবে।
বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি যথাসময়ে তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধে প্রকল্প প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অধীনস্থ সংস্থাসমূহের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।