শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে আজ রোববার থেকে। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। লঞ্চে করে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না। কাঁঠালবাড়ি থেকে লঞ্চে আসা যাত্রীরা গণপরিবহন না থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে এসে পড়ছেন বিপাকে।
ঘাট এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও পুলিশ দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছে। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস ও তিনজন নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীদের মামলা দিচ্ছেন ও জরিমানা আদায় করতে দেখা গেছে।
আজ রোববার সকাল ৭টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রথম লঞ্চ ছেড়ে যায়। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ৩৩ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।
এ ছাড়া লঞ্চে ওঠার সময় লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনো রকম হ্যান্ডস্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে না। ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে চারটি পয়েন্টে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হলেও কেউ তা ব্যবহার করছে না। কর্তৃপক্ষের তদারকিও নেই সেখানে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহকারী সম্পাদক মো. আলী আক্কাস জানান, সরকারের নিয়মনীতি মেনে লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
অপর দিকে বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাট ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. সোলেমান বলেন, আমরা মাইকিং করছি মাস্ক ছাড়া যেন যাত্রী পারাপার না করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লঞ্চে ওঠা-নামা করার জন্য। কিন্তু যাত্রীদের চাপে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৮৭ টি লঞ্চ রয়েছে, প্রতি ১০ মিনিট পর পর একটি করে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। নিয়মের মধ্যে যাত্রী ওঠানো হয়। কিন্তু কাঁঠালবাড়ি থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চের কোনো কোনোটায় কিছুটা এদিক সেদিক হচ্ছে। যাত্রী চাপের কারণে সবকিছু ঠিক রাখা যাচ্ছে না।
মাওয়ার ট্রাফিক ইনচার্জ মো. হিলাল উদ্দিন জানান, সকালে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১১টা গাড়িকে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ সময় ১৪ হাজার টাকা জারিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঘাটে ফেরি ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানায় ঘাট কর্তৃপক্ষ।