বগুড়ায় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নির্ধারিত ভাড়া থেকে বেশি আদায়ের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাসগুলো।
জানা গেছে, বন্ধের ৬৭ দিন পর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বগুড়া থেকে ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রতিটি বাসে নির্দিষ্ট সিটের অর্ধেক যাত্রী উঠানো হচ্ছে। যাত্রী উঠানোর সময় জীবাণু নাশক স্প্রে করাসহ চালক, হেলপার ও সুপার ভাইজারের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিওনের পুলিশ সুপার শহিদ উল্লাহ্, সিনিয়র এএসপি ইবনে রায়হান, মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ শহরের বিভিন্ন টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন। তারা যাত্রী ও বাসে কর্মরতদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। এসময় হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করার কারণে নির্ধারিত ভাড়ার সাথে ৬০ শতাংশ ভাড়া যুক্ত করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ঢাকার যাত্রীদের জন্য ৩৫০ টাকার স্থলে ৬০০ টাকা টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন যাত্রী ২টি সিট নিয়ে যাতায়াত করছে। এসি গাড়ির টিকেট গাড়ি মান ভেদে ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী ঢাকার টিকিটের দাম ৩৫০ টাকার সাথে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত যোগ করলে বর্তমান ভাড়া হয় ৫৬০টাকা। কিন্তু আদায় করা হচ্ছে ৬০০ টাকা। এ ব্যাপারে বাস মালিক ও শ্রমিকরা কথা বলতে রাজি হননি।
বগুড়া থেকে ঢাকাগামী একজন যাত্রী বলেন, অফিস খোলায় ঢাকা যেতে হচ্ছে। ২ মাস কর্মহীন ছিলাম। হাতে টাকা নেই। তারপরও সরকার ভাড়া বাড়ায়ে দিছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম। তাই দেশে তেলের দাম কমালে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে টাকা নিতে হতো না। তাছাড়া সরকার যা বাড়ায়ছে টিকেটের দাম তার চেয়ে বেশি নিচ্ছে। আমরা নিরুপায়। ঢাকায় যেতেই হবে। তাই বেশি দিয়েই যাচ্ছি।
জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে সকল রুটে বাস চলাচল করছে। সকল যাত্রীদের মাস্ক পড়তে বলা হচ্ছে। যাত্রী উঠানোর সময় জীবাণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। প্রত্যেক বাস কাউন্টার ও চেইন মাস্টারগণ পিপিইসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন। বাসের চালক, হেল্পার, সুপারভাইজারগন মাস্ক, হ্যান্ডগ্লোভস ব্যবহার করছেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, টার্মিনাল পরিদর্শন করে মালিক-শ্রমিক ও বাসের যাত্রীদের সাথে কথা বলেছি। বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। যদি কেউ সরকারি নির্দেশনা না মানে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।