পেনসিলভেনিয়া স্টেটের লে. গভর্ণর নির্বাচনে বাংলাদেশী আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ ১ লাখ ৮২ হাজার ১৮৪ ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ১১ সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারণায়। অভিবাসী সমাজের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে তৃণমূলের অকুন্ঠসমর্থন নিয়ে আবারো নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হলেন ড. নীনা। এবার লড়বেন স্টেটের অডিটর জেনারেল পদে। ডেমক্র্যাটদের সমর্থনের পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর উইমেন লিডার’র এ্যানডোর্সমেন্ট পেয়েছেন তিনি এবং নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন গত সপ্তাহে। একইসাথে তিনি নির্বাচনী প্রচার কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেছেন।
উল্লেখ্য, ৩০ বছরের অধিক সময় অভিবাসী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত নীনাকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার এশিয়ান আমেরিকান বিষয়ক উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। এরপর ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবেও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। নীনা ঘোষণা দিয়েছেন যে, পেনসিলভেনিয়া রাজ্য প্রশাসনে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। অনিয়ম-অনাচার দূর করা হবে। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত এই রাজ্যে অভিবাসী সমাজের কেউই প্রশাসনিক দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হতে পারেননি, নারীরাও পিছিয়ে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে চাই। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার সেøাগানে সকলেই শরিক হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন কেউ দেখেননি-আমি সেটি করে দেখাতে চাই পেনসিলভেনিয়ার আপামর জনতার সমর্থনে।
নীনা বলেছেন, এই রাজ্যের মানুষ এমন কাউকে দেখতে চান যার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে, ভরসা রয়েছে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতায়। তিনি বলেন, অডিটর জেনারেল হিসেবে রাজ্য প্রশাসনে সেক্স্যুয়াল হয়রানির চ্যাপ্টার একেবারেই নিশ্চিহ্ন করবো। নারী-পুরুষ পরস্পরের সহযোগী হয়ে স্বাচ্ছন্দে কাজের পরিবেশ তৈরী করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রয়োজণীয় পদক্ষেপ নেব। একইসাথে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাশের জন্যে আমার অফিসিয়াল ক্ষমতা ব্যবহারে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবো না।
নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনকালে ড. নীনাকে অকুন্ঠ সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন পেনসিলভেনিয়া রাজ্য সিনেটর আর্ট হেউড, ফিলাডেলফিয়া সিটি কাউন্সিলওম্যান সিন্ডি ব্যাস, স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ স্টিভ কিন্সী,জেয়ারড সলোমন এবং মভিতা জনসন-হ্যারেল, ফিলাডেলফিয়া শেরিফ হিসেবে ডেমক্র্যাট প্রার্থী রচেল বিলাল। ফিলাডেলফিয়া অঞ্চলে বসবাসরত বাংলাদেশীরাও ড. নীনার পক্ষে মাঠে নামবেন বলে জানা গেছে।