বগুড়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে মিষ্টার হত্যাকাণ্ডে শাজাহানপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখকে। এছাড়া ওই মামলায় আসামি রয়েছে আরো ১১ জনকে। পুলিশ এ মামলার অন্যতম আসামি ফিরোজকে গ্রেফতার করেছে।
গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ১৪নং ওয়ার্ডের শাজাহানপুর থানার শাকপালা মসজিদের পাশে প্রকাশ্যে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিষ্টারকে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, এলাকার প্রভাব বিস্তারসহ রাজনৈতিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে। তবে এ ঘটনার সাথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনই জড়িত। দিনের বেলা প্রকাশ্যে এভাবে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মানুষ স্তম্ভিত। তারা ভয়ে মুখ খুলছেন না। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ নয়টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মিষ্টার হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় যেমন আতঙ্ক বিরাজ করছে, তেমনি জনমনে স্বস্তি নেমে এসেছে।
শাহজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দীন জানান, মামলার বাদি মিষ্টারের বাবা আরমান হোসেন ড্রাইভার। মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়ার নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আসলাম আলী পিপিএম জানান, মামলা পাওয়ার পর তদন্ত এবং অভিযানে আছি। তবে একজন ছাড়া অন্য কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্তবর্তী (মিডিয়া) জানান, মামলার প্রধান আসামি আলহাজ্ব শেখ। ওই ঘটনায় মামলার তিন নাম্বার আসামি ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।