সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগীবাজার সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা (৩৫) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ রিপোর্ট পাওয়ার পর তার বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে দায়িত্বশীলরা খবর পেয়েছেন তিনি শশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। অথচ নমুনা সংগ্রহের পর থেকে তাকে বিয়ানীবাজারে হোম কোয়ারাইন্টাইনে থাকার কথা।
এর আগে একই ব্যাংকের করোনা আক্রান্ত সিনিয়র ব্যাংক কর্মকর্তা করোনা পজেটিভের খবর পেয়ে রাতের আঁধারে অনেকটা পালিয়ে বিয়ানীবাজার ছেড়ে তার নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জ চলে যান।
রাষ্ট্রীয় মালিকাধিন ব্যাংকটির একই শাখার দুই কর্মকর্তার এমন আচরণে উপজেলাবাসীর মনে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শনিবার বিয়ানীবাজারে করোনা আক্রান্ত তিনজনের তালিকায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম ছিলো। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন ফতেহপুর এলাকায় ভাড়া থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং কসবা এলাকার এক যুবক (২৮) রয়েছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আবু ইসহাক আজাদ জানান, করোনা আক্রান্ত অনেকেই কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো ঘোরা-ফেরা করছেন, যা করোনার পাবলিক ট্রান্সমিশনের জন্য ভয়াবহ। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করার অনুরোধ জানান এবং নমুনা সংগ্রহ করা সব ব্যাক্তির হোম কোয়ারাইন্টাইন নিশ্চিতে উপজেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।