যে বাড়িতে কাজ করে অর্থ আয় করতেন, সে বাড়ির শিশু সন্তানকে কোনো কারণ ছাড়াই গলাটিপে হত্যা করেন ফাতেমা আক্তার। ঘটনাটি দেখে ফেলে তারই ৭ বছরের সন্তান আরমান। পরে নিজেই মাকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় সে!
গতকাল শনিবার চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশিদ গ্রামের তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার পর শিশু জান্নাতুল মাওয়াকে (৫) বাড়ির পাশে ডোবায় লুকিয়ে রাখেন ফাতেমা (২৫)। শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাবার নাম আক্তার হোসেন (মৃত)।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার মাত্র দুই ঘণ্টার ভেতরেই খুনিকে আটক করতে সক্ষম হই আমরা। এ কাজে আমাদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে খুনি ফাতেমার ছেলে আরমান।’
ওসি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ফাতেমা কিছু না বললেও তার সাত বছরের ছেলে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। থানায় নিহত শিশু জান্নাতুল মাওয়ার মা কাজল রেখা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে বলশিদ তালুকদার বাড়ির শিশুকন্যা জান্নাতুল মাওয়াকে গৃহকর্মী ফাতেমা কোনো কারণ ছাড়াই গলা টিপে হত্যা করে। পরে হাত ও পা বেঁধে পাশের একটি ডোবায় লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনা ফাতেমার সাত বছরের ছেলে আরমান দেখে ফেলে। পরে জান্নাতুল মাওয়ার নানী আনোয়ারা বেগমসহ বাড়ির লোকজন বিষয়টি তার কাছ থেকে জানতে পেরে ওই ডোবা থেকে মাওয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ মাওয়ার লাশ ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠিয়েছে।