দীপিকা পাড়–কোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়–া, সানিয়া মির্জা, পি ভি সন্ধু, শ্রেয়া ঘোষালের মতো নানা তারকার খোঁজ পেয়েছে এদেশ। যে নারীরা স্বপ্ন দেখার সাহস দেখিয়েছিলেন। এবং সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে আপ্রাণ পরিশ্রম করেছিলেন। আজ তাঁরা দেশবাসীর গর্ব। বিশ্ব দরবারে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন তাঁরা। কিন্তু এদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক নারী রয়েছেন, সুযোগের অভাবে হয়তো যাঁদের প্রতিভা অন্ধকারেই থেকে গিয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে সেই নারীশক্তিকেই খুঁজে বের করার অভিযান শুরু হল।
মোদি সরকারের এই বিশেষ অভিযানের পোশাকি নাম ‘ভারত কি লক্ষ্মী’। যার মুখ বলি ডিভা দীপিকা এবং অলিম্পিক পদকজয়ী সিন্ধু। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে এই দিলওয়ালিতে নারীশক্তিকে কুর্নিশ জানানোর বার্তা দিচ্ছেন দুই তারকা। এদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের অলিগলিতেও লুকিয়ে রয়েছে কোনও প্রতিভাবান নারী। সমাজের প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজও তাঁরা প্রচারের আলোয় আসতে পারেননি। যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন- এই প্রবাদকে সত্যি করে যাঁরা নিঃশব্দেই নিজেদের কাজ করে চলেছেন। কেউ সমাজসেবা করছেন তো কেউ দেশের নাম বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। ভিডিওর লক্ষ্মী তাইও তেমনই এক দৃষ্টান্ত।
দীপিকা-সিন্ধুও এভাবেই স্বপ্নের ডানা মেলে ওড়ার সাহস দেখিয়েছিলেন। আজ তাঁরা সফল। আর এই সাফল্যের তৃপ্তি একেবারে অন্যরকম। নিজেদের জীবনসংগ্রামের কাহিনি ভিডিওতে তুলে ধরেছেন তাঁরা। তাই তাঁরা চান, আজও যাঁরা লাইমলাইটে আসতে পারেননি, এবার যেন তাঁদের খোঁজ করা হয়। সিন্ধু ও দীপিকার আবেদন, আপনার আশেপাশেও যদি এমন কোনও প্রতিভা দেখেন, তবে অবশ্যই তাঁর কাহিনি এবং উপলব্ধির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে #ইযধৎধঃকরখধীসর। কে বলতে পারে, আপনি কিংবা আপনার পাশের বাড়ির মেয়েটিই হয়তো সেই প্রতিভা। দিওয়ালিতে নারীশক্তির সেলিব্রেশনের মধ্যে দিয়েই হয়তো জন্ম নেবে কোনও তারকা।
একদিকে যেখানে চাঁদে পৌঁছে যাচ্ছে দেশ, সেখানে আজও কন্যা ভ্রুণহত্যার মতো ঘটনা ঘটে এদেশের আনাচে-কানাচে। এর আগে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ অভিযানের মাধ্যমে দেশে নারীদের রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এবার নারীদের সাফল্যের কাহিনি ছড়িয়ে দিতে চায় কেন্দ্র। সম্প্রতি রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এও এই অভিযানের কথা জানিয়েছিলেন মোদি। সেই অভিযানই বাস্তবায়িত হতে চলেছে।