দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৪১ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩২ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯০৩ জন।
আজ রোববার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৯০টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৪৬৫টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ৩ হাজার ১৪১ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৫২০ জন।’
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৯০৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১৮ হাজার ৭০৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৩২ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ১ হাজার ১৭১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মৃত্যু বিশ্লেষণে পুরুষ ২৭ জন এবং নারী ৫ জন।’
বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ‘২১ থেকে ৩০ বছর ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ৯ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ২ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে।’
‘তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ১ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ২০ জন, বাসায় ১১ জন মারা গেছে এবং ১ জন হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছে’ বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
এর আগে শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ৮৫৬ জন, মারা যায় ৪৪ জন। তার আগের দিন শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয় ৩ হাজার ৪৭১ জন, মৃত্যু হয় ৪৬ জনের।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।