রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

বাংলাদেশ ডেস্ক ‍॥
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৩৫৪ বার

ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিল না বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের যাত্রাপথ নিয়ে উদ্বিগ্ন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারি সেক্রেটারি এলিস জি ওয়েলস মঙ্গলবার প্রতিনিধি পরিষদে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে এই উদ্বেগের কথা জানান। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক উপ-কমিটির ওই শুনানিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও দেশটির রাজনৈতিক গতিপথ যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের জন্য সুশীল সংগঠনগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ব্যক্তি ও দলগুলো যেন অনলাইনসহ সকল পর্যায়ে তাদের মতামত অবাধে ব্যক্ত করতে পারে এবং বিরোধী রাজনীতিকরা তাদের আইনসিদ্ধ ভূমিকা পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
এলিস জি ওয়েলস আরো বলেন, ক্রম সংকুচিত কার্যক্ষেত্র ও নিষেধাজ্ঞামূলক খসড়া নীতিমালা সুশীল সমাজকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়ে সাংবাদিকরা অব্যাহতভাবে সেলফ-সেন্সরশিপের চর্চা করে যাচ্ছেন। এ আইনটি সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে প্রণয়ন করা হলেও এতে অনেক ক্ষেত্রে বাক স্বাধীনতাকে অপরাধে পরিণত করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
৩০শে ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের নেতাদের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বলেছি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনা দেশগুলো দেখেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ বা নিরপেক্ষ, কোনটিই ছিল না। ওই নির্বাচনের আগে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর পুলিশের দমন-পীড়ন ও ভীতিপ্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রশংসা করে তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর জন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। এলিস বলেন, এক দশক ধরে সাত শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে বাংলাদেশ আরো শক্তিশালী ও সম্পদশালী হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন আরো গতিশীল হবে বলে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের স্বীকৃতির দাবিদার বলেও মত প্রকাশ করেন এলিস। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মার্কিন এই কূটনীতিক বলেন, স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে অবশ্যই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে আনান কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com