যুক্তরাজ্যের এসেক্সে একটি লরিতে উদ্ধার হওয়া ৩৯ চীনা অভিবাসীর লাশগুলোর মধ্যে কয়েকটির ময়নাতদন্ত করা হবে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লরি থেকে ১১ লাশ অ্যাম্বুলেন্সে টিলবারি থেকে ব্রুমফিল্ড হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে লরি চালক রবিনসনকে কাস্টডিতে রাখার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাজ্যের এসেক্সে একটি লরি থেকে ৩৯টি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও আটজন নারী। এ ঘটনায় উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসেবে ২৫ বছরের লরি চালককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ট্রাকটি বেলজিয়াম-বুলগেরিয়া থেকে ১৯ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের হলিহেড এলাকায় প্রবেশ করে। বৃহস্পতিবার এসেক্স পুলিশ জানিয়েছে, ৩৯টি লাশই চীনা নাগরিকদের। তারা সবাই উইঘুর মুসলমান বলে জানা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রহরায় স্থানীয় সময় ৭টা ৪১ মিনিটে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স লাশ নিয়ে বন্দর ছাড়ে।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. রিচার্ড শেফার্ড বলেছেন, ময়নাতদন্ত পরীক্ষায় অনেক ধীরগতি ও সুসংগঠিত হতে হবে। তাদের পরনে কেমন পোশাক? কোনো অলঙ্কার রয়েছে কি না, যা দ্বারা তাদের শনাক্ত করা যাবে? কোনো নথি কি আছে? কিংবা কোনো পাসপোর্ট? এসব পুরো বিষয় মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
ড. শেফার্ড আরো বলেন, কিভাবে মৃতরা রেফ্রিজারেশন ইউনিটে প্রবেশ করলেন তাও খতিয়ে দেখবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
এসেক্স পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, সব লাশ লরি থেকে উদ্ধারে সময় লাগবে। লাশগুলোর যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করাকেই অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি।