বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২১ অপরাহ্ন

কাশ্মির পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে রোডম্যাপ চায় যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৩০৮ বার

স্বাভাবিক এবং আরো উন্নতি হোক জম্মু ও কাশ্মিরের পরিস্থিতিতে, এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। কাশ্মিরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য ভারতের কাছ থেকে একটি ‘রোডম্যাপ’ চেয়েছে তারা। পাশাপাশি সেখানকার রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছে দেশটি। অন্য দিকে পাকিস্তানকে তাদের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ‘টেকসই ও অপরিবর্তনীয়’ পদক্ষেপ নেয়ার বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জম্মু ও কাশ্মিরের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের বেশির ভাগকেই প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরেই দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিসহ মূল ধারার নেতাদের হয় আটক না হয় গৃহবন্দী করা হয়।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী মার্কিন সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস বলেছেন, ‘আমরা প্রতিদিনের পরিষেবাগুলোর পুরোপুরি পুনরুদ্ধারের জন্য সেখানকার রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছি, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প গভীরভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছেন, যেখানে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাখ্যান এবং রাজনৈতিক নেতাদের ‘বিনা অভিযোগে আটক রাখা’ এবং যোগাযোগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পর থেকে প্রায় আট মিলিয়ন বাসিন্দার দৈনন্দিন জীবন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

‘তবে আমরা পরিস্থিতির অগ্রগতি দেখেছি, উদাহরণস্বরূপ, চার মিলিয়ন পোস্টপেইড মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো সেখানে এসএমএস ও ইন্টারনেট নিষিদ্ধ রয়েছে’, বলেন তিনি।

শ্রীনগরের মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়ে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেয়ার এবং রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই অর্থাৎ ৪ আগস্ট রাতে উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন টেলিফোন পরিষেবাগুলোও।

‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আমরা যে গঠনমূলক সংলাপ দেখতে চাই তা অবশ্যই হতে পারে যদি পাকিস্তান তার ভূখণ্ডে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে টেকসই ও অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে’, বলেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী মার্কিন সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও বারবার বলেছেন, কাশ্মিরের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে সব পক্ষেরই দায়িত্ব রয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান কথা বলুক, এমনটাই চায় যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : এনডিটিভি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com