গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়েছে। করোনাভাইরাস জয় করলেও অন্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোভিড-১৯ পরবর্তী সেকেন্ডারি নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। সপ্তাহে তিনবার তার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। বিকল কিডনি রোগী হিসেবে দীর্ঘ একমাস রোগে ভোগার কারণে উনার শরীর খুবই দুর্বল। স্বরযন্ত্রের প্রদাহের কারণে বর্তমানে তার কথা বলা নিষেধ।’
মুহিব উল্লাহ আরও বলেন, ‘গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেখে গেছেন। তিনি জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন এবং উনার অবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিতভাবে জানাতে বলেছেন।’
গণস্বাস্থ্যের করোনা কিটের সমন্বয়ক বলেন, ‘জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিবডি কিট নিবন্ধন না পাওয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী খুবই বিষণ্ন। তবে ঔষধ প্রশাসন ও বিএসএমএমইউ কিটের উন্নয়নে সহায়তা করবে জানতে পেরে উনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড কিটের আরও উন্নত সংস্করণ তৈরি করছে। উনি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন শিগগির কিটটি নিবন্ধন পাবে এবং শিগগির বিএসএমএমইউ অ্যান্টিজেন কিট পরীক্ষার কাজ শুরু করবে।’
তিনি বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ১৫ শয্যার একটি আইসিইউ চালু করতে যাচ্ছেন। অসুস্থতার মধ্যেও তিনি অর্থ জোগাড়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সার্বিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছেন।’
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষ দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত ২৫ মে করোনা আক্রান্তের খবর নিজেই জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করালে তার করোনা ধরা পড়ে। এরপর ২৮ মে বিএসএমএমইউর পরীক্ষাতে থেকেও তার করোনা পজিটিভ আসে। এরপর রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি গত ১৩ জুন করোনা পরীক্ষায় তার ফল নেগেটিভ আসে। করোনা জয়ের আগে বার বার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।