মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগ কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়েছেন লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকেই বেরিয়ে এসেছে অবৈধ কাজে তাকে সহায়তা করা কুয়েতের এমপিসহ স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের লোকজনের নাম।
কুয়েতের তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কুয়েতি সংবাদমাধ্যম আরব টাইমসসহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের ফোনের সূত্র ধরে কুয়েতের সিআইডি কর্মকর্তারা দেশটির সাবেক ও বর্তমান পাঁচ এমপি, স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন ব্যবসায়ীর নাম জানতে পেরেছেন। তারা পাপুলের সবাই কাছ থেকে নগদ অর্থ ও চেকের মাধ্যমে ঘুষ এবং উপহার নিয়ে তাকে নানাভাবে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তারা পাপুলের মুঠোফোনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক আন্ডার সেক্রেটারিসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার ছবি ও ভিডিও পেয়েছেন। তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এদিকে, গত রোববার কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল সালেহ বলেছেন, ‘সরকার ভিসা–বাণিজ্যের মতো সংক্রামক ব্যাধি দূর করতে বদ্ধপরিকর। ওই অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের সবার বিরুদ্ধে একই আইন প্রযোজ্য হবে।’
ইতিমধ্যে তিনি তার মন্ত্রণালয়ের এসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল জাররাহকে বরখাস্ত করেছেন। কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়।