করোনাভাইরাস সংক্রামণ ‘শনাক্তকরণ পরীক্ষায়’ ফি নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি। আজ বুধবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের পক্ষে এই প্রশ্ন তুলেন।
রিজভী বলেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে আছে, এই মহামারির মধ্যে মানুষ না খেয়ে আছে, এক মুঠো আহারের জন্য আজকে অসহায় কর্মহীন মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। অথচ করোনা টেস্টের জন্য ২০০ টাকার করে নেওয়া হচ্ছে। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান সেখানেও করোনা টেস্টে ২০০ টাকা নেওয়া হয় না। কত বড় গণবিরোধী গণশত্রু হতে পারে এই সরকার।‘
‘গুম’ হওয়া পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন রিজভী। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে গুম হওয়ার দুই পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে এই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে উত্তরের গাজী রেজওনুল হক রিয়াজ, আজিজুর রহমান মোছাব্বির, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ‘গুম’ হওয়া মীরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সগীর হোসেনের স্ত্রী ও তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কাউসার আহমেদের স্ত্রীর হাতে বিএনপি চেয়ারপারসরন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আজকে যদি একজন রিরশাওয়ালা তার করোনা টেস্ট করতে যেতে হয়, একজন ভ্যানওয়ালা করোনা টেস্ট করতে যেতে হয়, একজন মজুর, একজন কৃষি শ্রমিক তারা সারা দিন কাজ করার পর হয়তো ১০০ থেকে ২০০ টাকা ইনকাম করতে পারে, তাও পারে না, কারও ৬০-৭০ টাকা ইনকাম হয়। সে ২০০ টাকা দিয়ে করোনা টেস্ট করবে কী করে? আমরা করোনা টেস্টে ফি নির্ধারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘দেশে যদি জনগণের সরকার থাকত এটা ( টেস্টের জন্য পরীক্ষার ফি নির্ধারণ) করত না। সরকারি চিকিৎসা পৃথিবীর বহু দেশে এমনকি বৃটিশ আমলে, পাকিস্তান আমলেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অনেকটা ফ্রি ছিল। আর উন্নত দেশগুলোতে প্রশ্নই আসে না।’