বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করতে পারলাম না এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে। এটা আমাদের ব্যর্থতা, আমাদের দুর্ভাগ্য।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আইনজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
খন্দকার মাহবুব বলেন, এই সরকার দুর্নীতি, লুট, গুমসহ কোনও কুকর্মই বাদ দেয় নাই; কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরোধী দল থেকে যে ধরণের নেতৃত্ব আসার কথা ছিল, তা আসে নাই। আমরা সে কারণে ক্ষুব্ধ। একটি নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করতে পারলাম না এই অবৈধ নির্বাচনের বিরুদ্ধে। এটা আমাদের ব্যর্থতা, আমাদের দুর্ভাগ্য। একটি সরকার দেশের ওপর অত্যাচার, অনাচার, অবিচার করে যাচ্ছে। আমরা প্রেস ক্লাবে বক্তব্য দেওয়া ছাড়া জনগণকে নিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করতে পারিনি।
সরকারের পদত্যাগ চেয়ে তিনি বলেন, আমি আজকে ওয়াদা করে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের আইনজীবী সমাজ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। এই সরকারের কোনও বৈধতা নাই। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। সাংবিধানিকভাবে তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই।
বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে এমন দাবি করে খন্দকার মাহবুব বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য নীতিমালা করে বলা হলো – শৃঙ্খলাবিধিসহ সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হলো। সুপ্রিম কোর্টকে ‘সাক্ষী গোপাল’ হিসেবে অনুমোদন নেওয়া হয়। সেই কারণে আজকে নিম্ন আদালতে টেলিফোনের ওপরে বিচার হয়, জামিন হয়। এই অবস্থা চলতে পারে না।