বিভিন্ন রোগের কারণে চোখে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান না করতে পারলে অতিসংবেদনশীল চোখ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এমনকি অন্ধত্বেরও কারণ হতে পারে। তাই সমসয় থাকতেই সচেতন হওয়া জরুরি।
চোখ ওঠা : চোখ লাল হওয়া, চোখে কিছু পড়েছে এমন বোধ হওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া, সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় চোখ লেগে যাওয়া, সব সময় পিচুটা জমা এ রোগের লক্ষণ। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণের কারণে এ রোগ হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে ড্রপ ব্যবহারে আরোগ্য লাভ করা যায়। এটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হয়।
চোখের অ্যালার্জি : চোখ চুলকানো, পানি পড়া, লাল হয়ে যাওয়া, চোখে গুটি ওঠা ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। শিশুদের এ রোগ বেশি হলেও বড়দেরও হতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে এ রোগ বেশি হয়। একেকজনের একেক জিনিসে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। ধুলাবালি খাবার, রাসায়নিক পদার্থ, প্রসাধনী, ফুলের রেণুতে চোখের অ্যালার্জি হয়।
চোখে ঘা : চোখর কালো মণিতে সাদা দাগ, আক্রান্ত চোখ লাল, ব্যথা হওয়া, আলো সহ্য করতে না পারা এবং দৃষ্টি কমে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ। আঘাতের কারণে এ রোগ হয়। ধান কাটার মৌসুমে ধানের পাতার বা ধানের আঘাতে আমাদের দেশে এ রোগ বেশি হয়। ভিটামিন এ-এর অভাবে শিশুর এ রোগ হতে পারে।
চোখের প্রদাহ : চোখ লাল হওয়া, আলো সহ্য করতে না পারা, প্রচ- ব্যথা হওয়া ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। রোগ বেশিদিন স্থায়ী থাকলে দৃষ্টি কমে যেতে পারে।
চোখের উচ্চচাপ বা গ্লুকোমা : চোখে ব্যথা হওয়া, আলো সহ্য করতে না পারা, পানি পড়া, মাথাব্যথা ও বমিভাব হওয়া ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। এ রোগে চোখের ভেতরের চাপ বেড়ে গিয়ে চোখের পেছনের স্নায়ু অকার্যকর হয়ে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
করণীয় : লাল চোখের চিকিৎসা নিতে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। অ্যালার্জি হতে পারে, এমন বস্তু বা পরিবেশ পরিহার করতে হবে। অ্যালার্জি হলে ডাক্তারের বেশিদিন স্টেরয়েড জাতীয় ড্রপ ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে চোখের চাপ বেড়ে গিয়ে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। কর্নিয়ার ঘায়ে চোখে স্টেরয়েড ব্যবহার অনুচিত। চোখের প্রদাহের সঙ্গে বাত রোগের চিকিৎসা না করলে প্রদাহ ভালো হয় না। চোখ উঠলে বেশি মানুষের সমাগমে না যাওয়াই ভালো। ব্যবহারের রুমাল এবং কাপড়-চোপড় বালিশের কভার, বিছানার চাদর প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যায়।