যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শক্তিশালী জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনাকে ভয়াবহ বোমা হামলা বলে দাবি করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবারের জোড়া বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৪ হাজারের বেশি মানুষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালালে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ হামলা’ উল্লেখ করে লেবাননের জনগণকে সমবেদনা জানিয়েছেন ট্রাম্প। সেইসঙ্গে তিনি তাদের জন্য সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘প্রথমেই আমি লেবাননের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। বিভিন্ন সংবাদে দেখা যাচ্ছে সেখানে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। কয়েকশ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের প্রার্থনা রইল। যুক্তরাষ্ট্র লেবাননকে সহায়তায় প্রস্তুত।’
ট্রাম্প বলেন, ‘লেবাননের সঙ্গে আমেরিকার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমেরিকার তাদের পাশে থাকবে।’
লেবাননের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বলেছেন, অত্যন্ত বিস্ফোরক রাসয়নিক পদার্থের গুদামে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা। পরিকল্পিতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তারা বলছেন, গুদামে ৬ বছর ধরে মজুদ রাখা অত্যন্ত বিপদজনক বিস্ফোরক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এই ঘটনাকে বিপর্যয় আখ্যা দিয়েছেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
ট্রাম্প এটিকে ‘ভয়াবহ হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করার পর সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বৈরুতের বিস্ফোরণ একটি হামলার ঘটনা ছিল; এ বিষয়ে আপনি আত্মবিশ্বাসী?’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা তাকে যা বলেছিলেন, তার ভিত্তিতে এটি ‘মনে হচ্ছে’। এটি হামলার ঘটনা ছিল।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আমাদের কয়েকজন জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং তারা মনে করছেন যে এটি কোন উৎপাদন সংক্রান্ত বিস্ফোরণ ধরনের ঘটনা নয়। তারা মনে করে এটি হামলার ঘটনা ছিল। এটি ছিল এক ধরনের বোমা বিস্ফোরণ। তারা আমার চেয়ে আরও ভালো জানেন।’