সহিসংতা ছাড়া সরকারি দলের নেতাকর্মীরা স্বস্তি পায়না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পৈশাচিকভাবে আঘাত করার জন্য তারা নির্ঘুম রাত কাটায়। দিনে রাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের যেখানেই পায়, সেখানেই আওয়ামী রক্তপিপাসুর ন্যায় আঘাত করতে ছুটে আসে।
বুধবার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে নড়াইল জেলাধীন লোহাগড়া পৌর বিএনপি’র ৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল মোল্লাকে গত কয়েকদিন আগে আওয়ামী দুষ্কৃতিকারিরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হাতের কব্জি, দুটো পা ও শরীরের নানা অংশে গুরুতর জখমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মুলত করোনা মহামারি, প্রলয়ংকারি বন্যা, ক্ষুধা, বেকারত্ব ইত্যাদির কারণে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। অন্যদিকে চোখ ফেরাতেই সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ওপর আক্রমন চালিয়ে রক্তাক্ত করছে। সারা বাংলাদেশ এখন ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। ভয় ও আতঙ্ক মানুষের নিত্যসঙ্গী। শুধুমাত্র বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর আতঙ্কই নয়, মিথ্যা মামলা-গ্রেফতার-হয়রানিসহ গুম ও বিচারবর্হিভূত হত্যার ভয়ও সাধারণ মানুষকে সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন করে রাখে। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন অগণতান্ত্রিক সরকার জনরোষের ভয়ে সবসময় আতংকীত থাকে বলেই সহিংস সন্ত্রাসকে আঁকড়ে ধরেছে। এই কারণেই লোহাগড়ার বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল মোল্লাদের মতো নিবেদিত প্রাণ মানুষদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন জনপদে রক্ত ঝরাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রশূন্য করে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এখন বিরোধীদলশূন্য করার নীতি বাস্তবায়ন করছে চরম উৎসাহসহকারে। এই সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যু যেন প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে শীর্ষ সংবাদ হচ্ছে। তিনি বলেন, নড়াইল জেলার লোহাগড়া বিএনপি নেতা জলিল মোল্লার ওপর নৃশংস হামলা কাপুরুষোচিত, এটি বর্বোরোচিত হামলার এক বিভৎস দৃষ্টান্ত। হত্যার উদ্দেশ্যেই এই অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে জড়িত দুষ্কৃতিকারিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি। আমি আব্দুল জলিল মোল্লার সুস্থতা কামনা করছি।