পুলিশি বাধায় কর্মী ছাড়াই বিএনপির মাত্র কয়েকজন নেতা আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনসহ একাধিক নেতাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি কবরস্থানে। কবরস্থানের বাইরে দাঁড়িয়েই মরহুম আরাফাত রহমান কোকের জন্য মোনাজাত করেন খাইরুল কবির খোকনসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত করতে যান বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী। এ সময় বনানী কবরস্থানের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ভেতরে যেতে বাধা প্রদান করে।
পরে বিশেষ অনুরোধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরফুদ্দিন সপু, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি মনোনীত সাবেক মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ফুল নিয়ে কবরস্থানে প্রবেশ করার অনুমতি পান।
এ সময় তারা কবরস্থানে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। একই সময়ে কবরস্থানের বাইরে থাকা অসংখ্য নেতাকর্মী দোয়া ও মোনাজাত করেন।
কবর জিয়ারত শেষে বাইরে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা আজকে আমাদের নেতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও এদেশের জনগণের ভোটে প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র আরাফাত রহমান কবর জিয়ারত করতে এসেছিলাম। আমরা সবাই যে আবেগ নিয়ে এসেছিলাম অনিবার্য কারণে সেই আবেগ নিয়ে সবাই কবরস্থানের পাশে গিয়ে দোয়া করতে পারিনি। আমরা আপনাদের পক্ষ থেকে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেছি। আমরা শুনেছি আপনারাও বাইরে বসে মোনাজাত করেছেন। আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করেছি। আমরা দোয়া করেছি খুন, গুম ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের জন্য। আমরা যেনো গণতন্ত্র পুনুরুদ্ধার করতে পারি সেজন্য দোয়া করেছি।
এসময় বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকে একটি অপরাধ মনে করি। এই বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের একমাত্র উপর জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক একটি সরকার ব্যবস্থা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না এমন একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু থাকলে সেখানে জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকে না। ফলে এরকম বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটে।
এসময় কবরস্থানের গেটের বাইরে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, মহানগর উত্তর ছাত্রদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আপেল মাহমুদ প্রমুখ।