দেশে যেকোনো নির্বাচন এলেই বিএনপি তারস্বরে চিৎকার শুরু করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে হারার আগেই হেরে যায়। তারা আন্দোলন ও নির্বাচন দুটোতেই পরাজিত।
আজ সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীনে নবনির্মিত পরিদর্শন বাংলো উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
সরকারের নাকি জনসমর্থন নেই- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনসমর্থন আছে কি নেই তার মানদণ্ড কী? সে অভিন্ন মাপকাঠিতে বিএনপি কী জনসমর্থন মেপে দেখেছেন?’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যদি মানদণ্ড হয় সেক্ষেত্রে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোর দিকে তাকালে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট।’
ওবায়দুল কাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘যারা আন্দোলনে পরাজিত হয়, পরবর্তী নির্বাচনেও তারা পরাজিত হয়। বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচন দুটোতেই পরাজিত, তাই জনগণও তাদের প্রত্যক্ষণ করেছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে জনগণ যাদের বারবার প্রত্যক্ষণ করে তাদের মুখে এমন কথা শোভা পায় না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সংসদের আসন্ন ৫টি আসনে উপনির্বাচনে ১টি আসনের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, অন্য আসনগুলেতে তফসিল ঘেষণার পর প্রার্থী বাছাই বা চূড়ান্ত করতে দলীয় দলীর সভাপতির উপর মনোনয়ন বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব অর্পণ করেছে।’
করোনার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে- গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন রিপোর্ট অনুযায়ী মন্ত্রী বিভিন্ন সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশের পৌরসভাসমূহকে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদারসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানান।