মহামারি চলাকালীন চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত পাঁচটি অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, বিশ্বের ৯০ ভাগ নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে।
বেশিরভাগ দেশ জানিয়েছে যে, অনেক দৈনন্দিন এবং নির্বাচিত পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। সেই সাথে স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে ক্যান্সার পরীক্ষা ও চিকিৎসা এবং এইচআইভি থেরাপির মতো চিকিৎসা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সোমবার ১০৫টি দেশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোভিড-১৯-এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম জরিপ প্রকাশ করেছে। জরিপে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ফাটলগুলো নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
মহামারির বাইরেও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য নতুন কৌশল সন্ধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচএও প্রধান তেদরস আধানম গেব্রিয়াসুস।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিশ্বের সব দেশে জন্য এ শিক্ষা দিয়েছে যে স্বাস্থ্যে বিকল্প বা সমান কিছু নেই। জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য আমাদের আরো ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করতে হবে যাতে পুরো জীবনযাত্রায় মানুষের প্রয়োজনের সময় পূর্ণরূপে সাড়া দেয়া যায়’ বলেন তিনি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশগুলোর ২৫টি পরিষেবা গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।