নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারের পরিবর্তে ফ্লোরিডায় স্থায়ী নিবাস গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্প। তার অভিযোগ, নিউ ইয়র্কের রাজনৈতিক নেতারা তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। অথচ তিনি সেখানে লাখ লাখ ডলার কর দেন। নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং মেয়র বিল দ্য ব্লাসিও উভয়ের সাথে ট্রাম্পের দা-কুমড়া সম্পর্ক। তারা দু’জনই ডেমোক্র্যাটিক নেতা। দুই নেতাই ট্রাম্পের নিউ ইয়র্ক ছাড়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
দ্য ব্লাসিওর টুইট, ‘আপনার চলে যাওয়াই উচিত’। কুওমো আরো এক কাঠি উপরে উঠে ট্রাম্পের লাখ লাখ ডলার কর দেয়ার দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘তিনি সম্পূর্ণ আপনাদের, ফ্লোরিডা।’
ট্রাম্পের জন্ম নিউ ইয়র্কে হলেও তিনি পাম বিচের মার-আ-লাগো রিসোর্টেই বেশি সময় থাকেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ওই রিসোর্টটি কেনেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তিনি মাঝে মধ্যেই হোয়াইট হাউজ থেকে ছুটিতে মার-আ-লাগো রিসোর্টে গেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ফ্লোরিডায় বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন। হাতে থাকা নথিপত্রের ভিত্তিতে পত্রিকাটি জানায়, বসবাসের আবেদনপত্রে ট্রাম্প ‘অন্যান্য বাসস্থান’র ঘরে হোয়াইট হাউজ এবং নিউ জার্সির বেডমিনিস্টারে তার ব্যক্তিমালিকানাধীন গল্ফ ক্লাবের কথা উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প সেই ১৯৮৩ সাল থেকে তার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে অবস্থিত ট্রাম্প টাওয়ারের একটি অ্যাপার্টমেন্টকে দেখান। এবার তিনি সেটা উল্লেখ করেছেন কি না তা নিউ ইয়র্ক টাইমস সেটা নিশ্চিত হতে পারেনি। হোয়াইট হাউজে যাওয়ার পর ট্রাম্প মার-আ-লাগো রিসোর্টে ৯৯ দিন থেকেছেন। একই সময়ে ট্রাম্প টাওয়ারে থেকেছেন মাত্র ২০ দিন।
ট্রাম্পের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ঘোষণা নিয়ে হোয়াইট হাউজ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ একজনের বরাত দিয়ে জানায়, মূলত করসংক্রান্ত কারণেই ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ ফ্লোরিডায় ‘স্টেট ইনকাম ট্যাক্স’ নেই। এটা হলো স্থানীয় সরকার থেকে আরোপিত আয়কর। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।