সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টিকে ‘চাঁদাবাজি’ হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুকে প্রচার করা হলেও এমপি কামরুল বলছেন, পাওনা টাকা চাইতেই তিনি স্থানীয় ওই ব্যবসায়ীকে ফোন দিয়েছিলেন। সালিশ আলোচনাকে চাঁদাবাজি উল্লেখ করে প্রচারণার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার রাতে স্থানীয় ফিড অপারেটর আলী আহমদ এবং বিদেশে অবস্থানকারী কথিত সাংবাদিক কনক সারোয়ারের নামে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
এ কথোপকথনটি রেকর্ড করে তা চাঁদাবাজি হিসেবে উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারণায় রেকর্ডটি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করেন দেশত্যাগী কথিত সাংবাদিক কনক সারোয়ার ও বিএনপির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান। তবে মামলায় ওয়াহিদুজ্জামানকে আসামি করা হয়নি।
কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার বিভিন্ন ঘটনা, অভিযোগ তাকে সালিশ করতে হয়। সালিশে নিষ্পত্তির কারণেই বিগত ১২ বছরে শত শত ঘটনা-বিষয় মামলা-মোকাদ্দমায় গড়ায়নি।
মামলার আর্জিতে তিনি আরও বলেন, করোনাকালে সামনাসামনি বসে বিবাদ নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বিধায় সম্প্রতি আসা অভিযোগটি তিনি টেলিফোনে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। তিনি আলী আহমদকে ফোন করে অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে চান। কিন্তু আলী আহমেদ অসৎ উদ্দেশ্যে এই কথোপকথন রেকর্ড করে জনৈক কনক সারোয়ারকে সরবরাহ করেন। কনক সারোয়ার তা ইউটিউবে ভাইরাল করেন।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে অবস্থানকারী স্থানীয় ফিড অপারেটর আলী আহমদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।