কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তার বিরুদ্ধে আনা চারটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার শুরু হয়। কুয়েতের ব্যক্তি মালিকানাধীন গণমাধ্যম আল-কাবাস এ তথ্য দিয়েছে।
আল কাবাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার উপসাগরীয় দেশটির অপরাধ আদালতের কাউন্সেলর আব্দুল্লাহ আল-ওসমানের আদালতে বাংলাদেশি সাংসদের বিচার শুরু হয়। ১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন বিচারক। এ ছাড়া, পাপুলের পক্ষ থেকে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। গ্রেপ্তারের পর ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এমপি পাপুলকে। কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনের তদন্তে পাপুলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানবপাচার, ঘুষ বিনিময় ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাপুলের সঙ্গে অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন কুয়েতের দুজন সংসদ সদস্য সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি ও সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদ। তারাও বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ‘ঘুষ নিয়ে’ অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে জামিনে থাকায় এ দুই কুয়েতি সাংসদ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হননি বলে জানিয়েছে আল-কাবাস পত্রিকা।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি বরখাস্ত মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহও রয়েছেন অভিযুক্তদের মধ্যে।
এর আগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।