ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদকে বহনকারী গাড়িতে আবারো হামলা হয়েছে। এতে সালাহউদ্দিন অক্ষত থাকলেও হামলায় গাড়ির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।
বুধবার দুপুরে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে যাত্রাবাড়ীতে প্রধান নির্বাচনী অফিসে ফেরার পথে ডেমরা বামৈল ব্রিজের উপর এ হামলা চালানো হয়।
ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী মিছিলসহ হঠাৎ দৌড়ে এসে আতর্কিত হামলা চালিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
নির্বাচনী প্রচারণায় এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর এক বক্তব্যের সমালেচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাবালক ও অর্বাচীন। রাজনীতি ও এ নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সম্পর্কে কোনো ধারণা তার নাই। তিনি একদিকে আমাকে বহিরাগত বলে সম্পূর্ণ ফালতু অপপ্রচার চালায় আবার আমার গণসংযোগে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, আমি সালাহউদ্দিন আহমেদ, এই এলাকার তিন তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এ এলাকার ৯০ ভাগ উন্নয়ন আমার হাত ধরে হয়েছে। আমার প্রচারণায় অতর্কিত হামলা করে সে এ এলাকার জনগণের মনে আঘাত করেছে এবং রাজনীতিতে তার নাবলকতার পরিচয় দিয়েছেন।
এর আগে ডেমরার বামৈল ব্রিজ থেকে শুরু করে বামৈল বাজার, ডগাইর নতুনপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, সহ সম্পাদক আকবর হোসেন নান্টু, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভাণ্ডারী, সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন সর্দার, ডেমরা থানা বিএনপির সহ সভাপতি হাজী হযরত আলী, যুগ্ম সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন ভুইয়া, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সহ সম্পাদক মাসুম দেওয়ান, সাঈদ আহমেদ শাহিন, ডেমরা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ, আব্দুল সত্তার, সারুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।