সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তখন ৩৩ বছর বয়সী সিনেটর। আর ২৪ বছর বয়সী জিল বাইডেন কলেজ জীবনের শেষ পর্যায়ে। এমন সময়ই জিলকে দেখে প্রেমে পড়ে যান বাইডেন। যথারীতি প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু কাজ হয়নি। তার ডাকে প্রথমেই সাড়া দেননি জিল।
ব্যর্থ হয়ে আবারও জিলকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু দ্বিতীয়বারও কোনো লাভ হয়নি। তবে কোনোভাবেই জিলের পিছু ছাড়েননি বাইডেন। একে একে পাঁচবার প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তারপর সবকিছু বিবেচনা করে যখন জিল দেখলেন জো বাইডেন একজন ‘ভদ্রলোক’ তখন আর না করতে পারলেন না।
জিল বাইডেন ও জো বাইডেনের শুরুর গল্পটা এমনই রোমাঞ্চকর। তবে এর আগের কাহিনী একটু বিষাদেরও। তাদের দুজনেরই বিয়ে হয়েছিলো। জিলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার আগে ১৯৭২ সালে জো বাইডেনের স্ত্রী ও কন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। রেখে যান দুই ছেলে। জিলের সঙ্গে সম্পর্কের আগে একা একা দিন কাটছিলো বাইডেনের।
এদিকে জিলেরও কলেজ জীবনের শুরুতেই বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই সংসার টিকেনি। কলেজের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় বিল স্টিভেনসনের সঙ্গে তাকে বেশিদিন থাকতে হয়নি।
১৯৭৭ সালে ফিলাডেলফিয়ায় ‘অ্যা ম্যান অ্যান্ড অ্যা উইম্যান’ চলচ্চিত্র দেখতে গিয়ে জিল আবিস্কার করেন জো বাইডেন একজন ‘ভদ্রলোক’। সেখানেই পঞ্চমবারের মতো জিলকে প্রেমের প্রস্তাব দেন বাইডেন।
প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পর ওই বছরেই তারা বিয়ে করেন। তারপর শুরু পথচলা। ৪৩ বছর এক ছাদের নিচে কাটিয়ে দিয়েছেন তারা। ১৯৮১ সালে তাদের ঘর আলোকিত করে আসে কন্যা এ্যাশলি। দীর্ঘ পথচলায় বাইডেনের জীবনে উত্থান-পতন এসেছে। বাইডেনের সব সিদ্ধান্ত গ্রহণেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এই নারী।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে পরবর্তী মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের জীবনী থেকে এমনটিই জানা যায়। সেখানে জিল জানান, বাইডেনের প্রস্তাব গ্রহণ করার আগে আমি তাকে পাঁচবার ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। কারণ আমি নিশ্চিত করতে চাইছিলাম যে তার সন্তানেরা যাতে আরেকটি মা না হারায়।