জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময় শ্রমিক লীগের নেতারা তাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
শনিবার সকাল ১০:৪০ টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেইসাথে উদ্যানের চারপাশের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
শ্রমিক লীগ সুত্র জানায়, সম্মেলনে সারাদেশের ৭৮ টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ৮ হাজার কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন। সেই সাথে সমসংখ্যক ডেলিগেট অংশ নিচ্ছেন সম্মেলনে। তবে উপকূলীয় এলাকা সমূহ থেকে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বড় সংখ্যক কাউন্সিলর ডেলিগেট সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি। সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও কয়েকজন বিদেশী আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নিয়েছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রথম অধিবেশন শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে বিকাল তিনটায়। ওখানে কাউন্সিলররা শুধুমাত্র অংশ নেবেন। তারা আগামী দুই বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর জাতীয় শ্রমিক লীগ যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটির সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ৯ জুলাই। তখন সভাপতি নির্বাচিত হন নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক নেতা শুক্কুর মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জনতা ব্যাংক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা সিরাজুল ইসলাম। ২ বছর মেয়াদের ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত চার বছর পূর্বে। সংগঠনটি যে লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছিল তা পূরণে অনেকাংশে ব্যর্থ বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, বিতর্কিতদের বাদ দেয়া হবে কমিটি থেকে। শুধু শ্রমিক লীগ নয়, সব সহযোগী সংগঠন থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়া হবে। সংগঠনকে বিতর্ক মুক্ত করার জন্য যা যা দরকার সবই করা হবে। সংগঠনগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে।